চাঁদপুরে অনুষ্ঠিত হলো জীবিকা প্রকল্প-৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠান এবং মডেল স্কেল-আপ প্রস্তাবনা উপস্থাপন। এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রকল্পটির সফলতা, সীমাবদ্ধতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন : ড. মোঃ সবুর খান, চেয়ারম্যান, ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন ও ড্যাফোডিল গ্রুপ।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন : ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, চেয়ারম্যান, সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ( সাবেক সচিব ও সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড)

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন : মোঃ বিল্লাল হোসেন খন্দকার, সহকারী পরিচালক, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর,চাঁদপুর।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা

সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাগণ, স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকবৃন্দ। জীবিকা প্রকল্পের সদস্যগণসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দগণ।

 

বক্তারা বলেন, জীবিকা প্রকল্পের মাধ্যমে চাঁদপুরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।

“মডেল স্কেল-আপ” পরিকল্পনার মাধ্যমে এই উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করলে অধিক সংখ্যক মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন।

বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে এই প্রকল্পকে একটি সফল মডেল হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী ড. আবদুল মজিদ বলেন

“জীবিকা প্রকল্প কোনো দান নয়, এটি অধিকারভিত্তিক উদ্যোগ। যাকাতভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন, মানবিক উন্নয়ন ও টেকসই জীবিকার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। তিনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।”

 

সভাপতির বক্তব্যে ড. মোঃ সবুর খান বলেন—

“ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন সবসময় সমাজের উন্নয়নে পাশে থেকেছে। জীবিকা প্রকল্প-৩ আমাদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এখন সময় এসেছে এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আরও বৃহৎ আকারে মানুষের কল্যাণে কাজ করার। তিনি আরো বলেন

আল্লাহ তখনই সাহায্য করেন, যখন মানুষ নিজে থেকে চেষ্টা করে। সুদবিহীন ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়া পরিবারগুলো সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমাদের সন্তানদের সুশিক্ষিত করে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এসময় তিনি বলেন, ২০১৫ সালের মার্চ মাসে যাত্রা শুরু করা জীবিকা প্রকল্প-৩ ইতোমধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর, আশিকাটি, মৈশাদী, তরপুরচণ্ডী ইউনিয়ন এবং পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ১২ হাজার সুবিধাভোগীকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ”

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা একে “সমাজ উন্নয়নের একটি কার্যকর ও টেকসই উদ্যোগ” হিসেবে আখ্যা দেন এবং প্রকল্প-৪ বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে—‘জীবিকা প্রকল্প’ এর ধারাবাহিকতা চাঁদপুরসহ দেশের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।

 

#DaffodilFoundation #JibikaProject #Chandpur #SustainableDevelopment